ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মূমূর্ষ অবস্থায় শৈলকুপা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ তিন রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের বিপ্রবকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন শৈলকুপা থানার এস আই সিহাবুল ইসলাম, কনস্টেবল খাদেমুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, গ্রামবাসি মর্জিনা খাতুন, মেহেদী হাসান, আইয়ুব হোসেন, আব্দুর রহিম, নবিরুল ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস, লিটন আলী, হাফিজুর রহমান, নবাব আলী, রাসেল হোসেন, আব্দুর রফিক ও আজিজুর রহমানসহ ২০ জন। পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিপ্রবকদিয়া গ্রামে আগে থেকেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান জিকু ও বিপ্রবগদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান সাচ্চু গ্রæপের লোকজন দু'ভাগে বিভক্ত ছিল।.
রোববার সকালে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী দু'দলে বিভক্ত হয়ে লাঠি-সোটা, রাম দা, হাসুয়া, লোহার রডসহ দেশীয়ও অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। এ প্রসঙ্গে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে আছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে এখনও আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। উল্লেখ্য শনিবার (২৭ নভেম্বর) শৈলকুপা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় আরও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। তবে পুলিশ সতর্ক রয়েছে বলে ওসি জানান।. .
ডে-নাইট-নিউজ / ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আপনার মতামত লিখুন: